ছবির নতুন ভাষার সন্ধানে
কাশফুলের মধ্যে দিয়ে ছুটে চলেছে দুই ভাইবোন। তাদের চোখে অপার বিস্ময়। দূর থেকে ভেসে আসছে তাদের জীবনে না দেখা এমন এক যান যা তাদের কল্পনাকে মোহিত করে রেখেছে বেশ কিছুদিন। যবে থেকে তারা শুনেছে বাবার কাছে রেলগাড়ির গল্প। ক্রমে শব্দ দূর থেকে কাছে আসে। ছুটতে গিয়ে দিদি দূর্গা পড়ে যায়। ভাই অপু দেখে বিশ্বের বিরলতম আবিষ্কার রেলগাড়ি। যা যান্ত্রব, গতিময়, নিদারুণ, পদে পদে এগিয়ে যাওয়ার লোভ দেখায়। সত্যজিতের অপু ট্রিলজিতে এই রেল গাড়ি কি অমোঘ এক নিয়তির দিকে নিয়ে যায় মূল প্রটাগোনিষ্ট অপুকে তা আমরা যারা ছবিগুলো দেখেছি তারা জানি। সত্যজিতের দুর্গা রেলগাড়ি দেখতে পায়নি। তার দেখার উপায় ছিল না। সে ছিল তার পিসি ইন্দিরঠাকরুনের ‘অবশেষ’। যাদের নিশ্চিন্দিপুরের ওই গ্রামের বেড়াজালের মধ্যেই দম বন্ধ করে মরতে হয়েছে। কেউ মরার সময় জল পর্যন্ত পায়নি। আবার কাউকে মরতে হয়েছে বিনা চিকিৎসায়, অপুষ্টিতে। তাদের রেলগাড়ি দেখার সৌভাগ্য হবে কী করে? যা আসলেই আধুনিকতার প্রতিভূ। টেনে নিয়ে যায় গ্রাম থেকে শহরে। রুটি রুজির টানে। বেঘর করে। এই উৎপাটনের কাহিনী আছে ছবিগুলোর পরতে পরতে। আমরা জানি ইন্দিরঠাকরুন এবং দুর্গা তাও নিজের গ্রামে, ভিটেতে মরতে ...