এই সন্ধিক্ষণে...

এই সন্ধিক্ষণে...
 ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যে পথ হাঁটছি আমরা...এক রাস্তা...এক বাতিস্তম্ভ...এক মানুষ।
পাল্টায়নি কিছু...
পালটেছে কি?
কিছু...?
অভিজ্ঞতা...
অভিব্যক্তি...
অন্যমনস্কতা...
পাল্টায়নি।
তবু অবিরাম...অনবরত...অবিচল পথহাঁটা।
মনে পড়া টুকরো টুকরো স্মৃতি...কত কথা...চিঠি...দলিল...দস্তাবেজ...। 
মা আসছেন...
সাজছে রণতরী...
দুন্দুভি...
দামামা...
তবু কেন রক্ত পিচ্ছিল পথে নরম আলোর ছোঁওয়া...
তবু কেন বারবার পিছে ডাকার হাতছানি...
হেরে যাওয়া মানুষের কোল, বুক চিরে রক্ত...
ফিনকি...
আমি সত্যি দেখিনি কিছু...পিছ মোড়া বাঁধা ছিলো আমায়...
ঢাল, তরবারি, বল্লম কিছু ছিলো না মা হাতে...
ছিলো কলম, কালি, চকের গুঁড়ো...।
বরাভয় দিয়েছিলে।
বাঁচাতে পারোনি আমায়।
দেখো তবু আমারই শতাধিক প্রাণের পিদিম জ্বলে।
আমারই চক্ষুদান হয়...
প্রাণ প্রতিষ্ঠা পায়...
শতাধিক অসুর ছিঁড়ে খায় আমার মেয়ের লাশ।
সন্ধিক্ষণে ঢাক বাজে...
শাঁখ বাজে...
আমি প্রতিবার ফিরে আসি...
বারবার...
তোমারই সন্তানের প্রতিচ্ছবি হয়ে...
হে বিনাশকারিণী...
হে দুর্জ্ঞেয়...
হে দশভূজা...
হে প্রসন্না...
এই সন্ধিক্ষণে হাজার প্রাণের পিদিম জ্বলুক...
হাজার আশার বাণী বর্ষিত হোক...
সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা হও মা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা গুলি