হেনরী আইল্যান্ড (Henry Island)
হেনরী আইল্যান্ড (Henry Island)
ইচ্ছে করলে থাকতে পারেন এরকম একটা তাঁবুতে...
আর দু পা এগিয়ে যেতে পারলে অপেক্ষা করে আছে একটা সমুদ্র...একটা নির্জন সৈকত...
পূর্বাশার ইচ্ছে হলো পড়ন্ত সূর্যের আলোয় একটা ছবি তোলার...
ন্যাড়া ঝাউ গাছ থেকে চেয়ে থাকলো একটা পাখি...সাক্ষী থাকলো এই সায়ন কালের...
হাতানিয়া দোয়ানিয়া নামটা শুনতেই মনের মধ্যের গুম হয়ে বসে থাকা পাখিটা যেন নড়ে চড়ে উঠেছিলো...মন বলছিলো এবার বেড়িয়ে পড়ো। তাই একদিন বন্ধুরা সবাই মিলে ঠিক করলাম এবারের পিকনিকটা আমরা হেনরী আইল্যান্ডে করবো। ঠিক হলো সব মাথা গুলো অনেকদিন পরে জড়ো হব। আমরা সবাই ওয়েট করলাম। মাথা জড়ো হতে থাকলো। ক্রুজের জাহাজ থেকে অরুনাভ জানালো ডিসেম্বরের আগে ছুটি পাবে না। বাবুই বললো এখন অনেক ব্যাস্ততা...নতুন কারখানা খোলার প্রস্তুতি... পাপুই জানালো প্রতিদিন নতুন ক্লায়েন্ট...ডিল...দ্বিপেন বললো একদিন ঢালাই বন্ধ মানে ব্যাপারটা কি তুই জানিস...পিন্টুর ওষুধের দোকান...হাবুর চাকরী...রামকৃষ্ণ নতুন গাড়ি কিনেছে...পাপ্পুর নতুন চাকরী...বাবাইয়ের টালবাহানা এই সব পার করে অবশেষে আমরা পৌঁছোলাম হাতানিয়া-দোয়ানিয়ার কাছে...কলকাতা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এই নদী পেরিয়ে আরো মিনিট তিরিশের পথ। হেনরী আইল্যান্ড পৌঁছানো মুখের কথা? নদীতে এসেই চোখে পড়লো টুকরো ছবি...মন বললো সামনেই গঙ্গা সাগর...
নদী পেরোতে হবে বাস সমেত...হ্যাঁ এটা চলে আসছে বহুদিন...শক্তি চট্টোপাধ্যায় পর্যন্ত লিখে গেছেন...একটা ব্রিজ কি এখানে তৈরী করে দেওয়া যায় না? বাস সমেত আমরা চললাম ভাসতে ভাসতে...
এমন মজার ব্যাপারে আমি এর আগে কখোনো অংশগ্রহণ করিনি...অবশেষে আমরা পৌঁছোলাম হেনরী আইল্যান্ড। এখানে আমরা মতস্য দপ্তরের রেস্ট হাউসে থাকবো...আপনিও থাকতে পারবেন...বুকিং করতে হবে বিকাশ ভবন থেকে...
ওয়াচ টাওয়ারে উঠেই মনটা ভরে যায়...। একদিকে অসংখ্য ভেড়ি যেখানে চাষ হচ্ছে নানান রকমের মাছ...দুপুরবেলা কিম্বা রাতে ইচ্ছে করলে মেছো বাঙালীর পাতে পড়তে তারা উতসাহী....
একদিকে ভেড়ি আর একদিকে জঙ্গল...
এই রাস্তা দিয়ে কিছুটা হাঁটলে সমুদ্র...
ইচ্ছে করলে থাকতে পারেন এরকম একটা তাঁবুতে...
আর দু পা এগিয়ে যেতে পারলে অপেক্ষা করে আছে একটা সমুদ্র...একটা নির্জন সৈকত...
পূর্বাশার ইচ্ছে হলো পড়ন্ত সূর্যের আলোয় একটা ছবি তোলার...
বাতিঘর ফোন করে জানালো ইলিনয়তে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা...আর ঠিক তখনই আমার ঘরের সামনে একটা মাছরঙা...
সারা সকাল ঘিরে থাকে নানা রকম পাখি...নানা আনন্দ...প্রকৃতির মধ্যে প্রাণ ভরে বেঁচে থাকা...
দেখতে পেলাম মাছ ধরছেন একজন...ডেলি লেবার...দিন প্রতি আশি টাকা...
ফিরে আসছি পথে এক ঝাঁক অতিথি আমাদের সঙ্গী...
ভালো কথা এখান থেকে যেতে পারেন বকখালি...ফ্রেজারগঞ্জ...আর যদি ইচ্ছা না করে দিব্যি গোটা তিনেক দিন আপনি হেনরী আইল্যান্ডে বসে কাটিয়ে দিন...
কয়েকটা দিন মজায় কাটলো...ফিরে এসেই তাই ব্লগ লিখতে বসলাম...আরো ছবি দেখতে চাইলে ফেসবুকে আমার উঠোনে যেতে হবে...নিমন্ত্রণ রইলো আপনার...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন