Paa (পা)
পা (Paa)
কেউ যদি একটা গ্লোবকে শাদা রঙ করে দেয়?
কেউ যদি নিরন্তর এগিয়ে চলে মৃত্যুর দিকে...
কেউ যদি ১৩ বছর বয়সেই বুড়িয়ে যায়...
একটা বিশাল ঘড়ি খেতে থাকে মুহূর্ত...
বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে নাম না জানা সম্পর্ক...
ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে হঠাত পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মত ছেলের খাটটাই তখন হোমকুন্ড...
প্রজাপতি ঋষি...গায়ত্রী ছন্দ...
এই ছবিতে অমিতাভ কোথায়?
কেন এমন ঝিম ধরা থিম মিউজিক ইল্লাইয়ারাজার?
কেন সবার চোখের কোণে জল?
আরে ধুত, প্রগোরিয়া সম্বন্ধে ধারণা আছে কারো?
সে খেলবে ক্রিকেট?
অরো তো অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে...
অরোতো আগেই জিতে আছে সব কিছু।
না হলে কি সত্যি কোনো গল্প হয়?
হয় না।
এ কেমন অভিনয় থেকে জীবনে উত্তরণ?
এ কেমন অমিতাভ?
কোন অমিতাভ?
পূর্বাশা ছবিটা দেখতে চায়নি প্রথমে। কেন দেখতে চায়নি, কিসের জন্য দেখতে চায়নি, আমি জিজ্ঞেস করিনি কখোনো। শুধু দেখতে ইচ্ছে করছিলো যাঁর প্রথম ছবি চিনি কম তাঁর দ্বিতীয়টা কেমন। আমরা ছবিটা দেখতে বসে কোনো কথা বলিনি, বলার অবকাশ ছিলো না। জনপ্রিয় কোনো প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে...কিভাবে তার শরীরে বুনে দিতে হয় সমকালের চিহ্ন...দেখলাম পরিচালক আর বাল্কি সেটা জানেন। শুধু জানেন না, খুব সুচারু কৌশলে তা প্রয়োগ করেন। তাই এখনকার ধোপদুরস্ত এম পি কে জড়িয়ে পড়তে হয় জমি অধিগ্রহণের সমস্যায়। রিয়ালিটি শোতে সবার সামনে বলতে হয় "সেদিন যদি একটা কন্ডোম থাকতো তাহলে হয়তো ঠিক এমনটা হত না..."
এই ছবিতে দেখলাম সম্পর্ক গুলো নিয়ে অযথা প্রশ্ন করলো না কেউ। অন্তত যাদের করার কথা ছিলো।
কিন্তু অরো করলো।
অরোর কাছে সাত পাকে বাঁধা জীবনটা অনেক বেশি স্থিতিশীল মনে হয়েছিল। তাই স্বামী-স্ত্রীর মিলনই এই ছবির মুখপাদ্য।
মরার আগে অরো সেটাই প্রমানিত করে।
সে যাই হোক জনপ্রিয় আঙ্গিকে ছবি করতে নেমে কিছু কি বিষয় বৈচিত্রের স্বাদ আনলেন বাল্কি?
নিশ্চই আনলেন।
অসাধারণ সংলাপ...সঙ্গীত...অভিনয়...
আর হ্যাঁ...আমার সবথেকে বড় পাওয়া...
এক অমিতাভ বচ্চন হীন ছবি...।
যেখানে একজন নিষ্ঠাবান অভিনেতাকেই বারবার চোখে পড়লো...
যিনি এই ভারতে থেকেও...নিজেকে এতো ভেঙে চুরে নিলেন।
ধন্যবাদ বাল্কি...
ধন্যবাদ আপনার টিমকে...
পা...আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি ঠিক জানি না, সিনেমা করে বিপ্লব আনা যায় কিনা...।
আমি ঠিক জানি না সঠিক অর্থে নিখাদ আর্টের সম্পর্ক কি?
শুধু এটুকু জানি নবীনার ইভনিং শোতে আমার পাশে বসে পূর্বাশা বার বার চোখের কোণ মুছছিলো...
গোটা হলে পিনড্রপ সাইলেন্স...
কী বললেন মেলোড্রামা?
হ্যাঁ ওটাই এখন আমার পছন্দের বিষয়।
ফিরতি পথে ঝালমুড়ির ঠোঙায় জ্বলজ্বল করে চেয়ে রইলো বিহারের প্রগোরিয়া আক্রান্ত ভাইরা।
চেয়ে রইলো...ঠিক যেমন আমরা চেয়েছিলাম শাদা পর্দার দিকে।
কেউ যদি একটা গ্লোবকে শাদা রঙ করে দেয়?
কেউ যদি নিরন্তর এগিয়ে চলে মৃত্যুর দিকে...
কেউ যদি ১৩ বছর বয়সেই বুড়িয়ে যায়...
একটা বিশাল ঘড়ি খেতে থাকে মুহূর্ত...
বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে নাম না জানা সম্পর্ক...
ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে হঠাত পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মত ছেলের খাটটাই তখন হোমকুন্ড...
প্রজাপতি ঋষি...গায়ত্রী ছন্দ...
এই ছবিতে অমিতাভ কোথায়?
কেন এমন ঝিম ধরা থিম মিউজিক ইল্লাইয়ারাজার?
কেন সবার চোখের কোণে জল?
আরে ধুত, প্রগোরিয়া সম্বন্ধে ধারণা আছে কারো?
সে খেলবে ক্রিকেট?
অরো তো অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে...
অরোতো আগেই জিতে আছে সব কিছু।
না হলে কি সত্যি কোনো গল্প হয়?
হয় না।
এ কেমন অভিনয় থেকে জীবনে উত্তরণ?
এ কেমন অমিতাভ?
কোন অমিতাভ?
পূর্বাশা ছবিটা দেখতে চায়নি প্রথমে। কেন দেখতে চায়নি, কিসের জন্য দেখতে চায়নি, আমি জিজ্ঞেস করিনি কখোনো। শুধু দেখতে ইচ্ছে করছিলো যাঁর প্রথম ছবি চিনি কম তাঁর দ্বিতীয়টা কেমন। আমরা ছবিটা দেখতে বসে কোনো কথা বলিনি, বলার অবকাশ ছিলো না। জনপ্রিয় কোনো প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে...কিভাবে তার শরীরে বুনে দিতে হয় সমকালের চিহ্ন...দেখলাম পরিচালক আর বাল্কি সেটা জানেন। শুধু জানেন না, খুব সুচারু কৌশলে তা প্রয়োগ করেন। তাই এখনকার ধোপদুরস্ত এম পি কে জড়িয়ে পড়তে হয় জমি অধিগ্রহণের সমস্যায়। রিয়ালিটি শোতে সবার সামনে বলতে হয় "সেদিন যদি একটা কন্ডোম থাকতো তাহলে হয়তো ঠিক এমনটা হত না..."
এই ছবিতে দেখলাম সম্পর্ক গুলো নিয়ে অযথা প্রশ্ন করলো না কেউ। অন্তত যাদের করার কথা ছিলো।
কিন্তু অরো করলো।
অরোর কাছে সাত পাকে বাঁধা জীবনটা অনেক বেশি স্থিতিশীল মনে হয়েছিল। তাই স্বামী-স্ত্রীর মিলনই এই ছবির মুখপাদ্য।
মরার আগে অরো সেটাই প্রমানিত করে।
সে যাই হোক জনপ্রিয় আঙ্গিকে ছবি করতে নেমে কিছু কি বিষয় বৈচিত্রের স্বাদ আনলেন বাল্কি?
নিশ্চই আনলেন।
অসাধারণ সংলাপ...সঙ্গীত...অভিনয়...
আর হ্যাঁ...আমার সবথেকে বড় পাওয়া...
এক অমিতাভ বচ্চন হীন ছবি...।
যেখানে একজন নিষ্ঠাবান অভিনেতাকেই বারবার চোখে পড়লো...
যিনি এই ভারতে থেকেও...নিজেকে এতো ভেঙে চুরে নিলেন।
ধন্যবাদ বাল্কি...
ধন্যবাদ আপনার টিমকে...
পা...আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি ঠিক জানি না, সিনেমা করে বিপ্লব আনা যায় কিনা...।
আমি ঠিক জানি না সঠিক অর্থে নিখাদ আর্টের সম্পর্ক কি?
শুধু এটুকু জানি নবীনার ইভনিং শোতে আমার পাশে বসে পূর্বাশা বার বার চোখের কোণ মুছছিলো...
গোটা হলে পিনড্রপ সাইলেন্স...
কী বললেন মেলোড্রামা?
হ্যাঁ ওটাই এখন আমার পছন্দের বিষয়।
ফিরতি পথে ঝালমুড়ির ঠোঙায় জ্বলজ্বল করে চেয়ে রইলো বিহারের প্রগোরিয়া আক্রান্ত ভাইরা।
চেয়ে রইলো...ঠিক যেমন আমরা চেয়েছিলাম শাদা পর্দার দিকে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন