আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়
আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়
সকালে ঘুম থেকে উঠে ডানকুনি লোকাল ধরার তাড়া থাকে। আরো অনেক কিছুর তাড়ার মধ্যে সকালের খবরের কাগজ খোলার সময় থাকে না। সময় থাকে না ফেলে আসা সময়...খবরে পরিণত হওয়া কিছু মুহূর্তকে ছুঁয়ে দেখার। কারণ আমি ব্যস্ত...কাজের ফিকিরে...কাজের অছিলায়...মন খারাপ করা ব্যস্ততায় নিজেকে প্রতিনিয়ত নিমজ্জিত রেখে চলি। পাছে ভয়, ব্যস্ততার কানা গলিতে ঘুরে না মরলে যদি অকেজো হয়ে যাই...নিদেন দুপুরটার দিকে অলস চোখে তাকানো? আরে রামো...রামো...তাহলে তোমার ব্যস্ততার মাপকাঠি পরিণত হবে কি করে তোমার ক্লায়েন্টের কাছে...তোমার বাড়ির লোক জানবে কি করে তুমি ব্যস্ত ছবি করিয়ে...নিজের কাছে প্রমান মিলবে কী করে? এতো সব উত্তর আর বে-উত্তরের ফাঁকে কোথায় যেনো রাত নেমে আসে। আমি আবার ডানকুনির লাস্ট লোকালে অনেক রাতে বাড়ি ফিরি। আমার সঙ্গী থাকে সবুজ তরিতরকারী বিক্রেতা কিছু মানুষ। তাদের হাতের কাগজ টেনে দেখি...খবরের কাগজের মাঝের পাতায় ছোটো একটি খবর আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত।
আমার সামনে হঠাৎই ফিরে আসে কোনো এক বৃষ্টি ভেজা দিনের স্মৃতি। কলকাতা গানের অনুষ্ঠানের শ্যুটিং করতে গেছি তাঁর বাড়ি। আর শিল্পী ডুব দিয়েছেন তাঁর স্মৃতি সত্তায়...ফেলে আসা দিনের গভীরে। আমাদের টিমটাও তো আলো করা, রয়েছেন শঙ্করলাল, বিক্রমজিৎ, জয়দীপ। আর আলপনাদি গেয়ে চলেছেন "মন বলছে আজ সন্ধ্যায়...", গাইছেন "ময়নার মা ময়নামতী..."। বলছেন রবিশঙ্কর, উস্তাদ আলি আকবর খানের গল্প। তেরো বছর বয়সে আকাশবাণীতে গাইতে শুরু করেন। ষাটটি ছবি ছাড়াও প্রায় শ'চারেক গান গেয়েছেন। তারপর হঠাৎই গান ছেড়ে দিলেন। স্বামীর সাথে চলে গেলেন বিদেশে। পড়ে রইলো উত্তাল জলসা...গানের রেকডিং...অসংখ্য ছবি...উত্তমকুমারের নায়িকার অফার।
শঙ্করবাবু প্রশ্ন করলেন,"এত নাম...প্রশংসা...পুজোর হিট গান ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে ভালো লাগলো?" স্মিত হাসলেন আলপনা। বিকেলের সেই মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন "খুব জেদ করে এসেছিলাম জানেন...আর একদিন হেলাফেলায় সব ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম...না কোনো রাগ...অভিমান নিয়ে নয়...এমনি...। লোকচক্ষুর আড়ালে এলাম...কিন্তু গানকে ছাড়লাম না...গানও আমায় ছাড়েনি...।"
গান ছাড়েনি আলপনাদিকে। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। আর আমার কাছে পড়ে থাকলো একটা বৃষ্টি ভেজা দিনের স্মৃতি...এক বর্ষীয়ান শিল্পীর সাহচর্য। কিছু ভালো লাগা মুহূর্ত। শুনেছিলাম, আমাদের অনুষ্ঠানের প্রযোজক বিক্রমজিৎকে ফোন করে শিল্পী জানিয়ে ছিলেন অশেষ কৃতজ্ঞতা...আমরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছি বলে...তাঁকে ভুলিনি বলে। কিন্তু সত্যি কি কাউকে ভোলা যায়? যদি জোর করে ভুলতে না চাই তাহলে...
সকালে ঘুম থেকে উঠে ডানকুনি লোকাল ধরার তাড়া থাকে। আরো অনেক কিছুর তাড়ার মধ্যে সকালের খবরের কাগজ খোলার সময় থাকে না। সময় থাকে না ফেলে আসা সময়...খবরে পরিণত হওয়া কিছু মুহূর্তকে ছুঁয়ে দেখার। কারণ আমি ব্যস্ত...কাজের ফিকিরে...কাজের অছিলায়...মন খারাপ করা ব্যস্ততায় নিজেকে প্রতিনিয়ত নিমজ্জিত রেখে চলি। পাছে ভয়, ব্যস্ততার কানা গলিতে ঘুরে না মরলে যদি অকেজো হয়ে যাই...নিদেন দুপুরটার দিকে অলস চোখে তাকানো? আরে রামো...রামো...তাহলে তোমার ব্যস্ততার মাপকাঠি পরিণত হবে কি করে তোমার ক্লায়েন্টের কাছে...তোমার বাড়ির লোক জানবে কি করে তুমি ব্যস্ত ছবি করিয়ে...নিজের কাছে প্রমান মিলবে কী করে? এতো সব উত্তর আর বে-উত্তরের ফাঁকে কোথায় যেনো রাত নেমে আসে। আমি আবার ডানকুনির লাস্ট লোকালে অনেক রাতে বাড়ি ফিরি। আমার সঙ্গী থাকে সবুজ তরিতরকারী বিক্রেতা কিছু মানুষ। তাদের হাতের কাগজ টেনে দেখি...খবরের কাগজের মাঝের পাতায় ছোটো একটি খবর আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত।
আমার সামনে হঠাৎই ফিরে আসে কোনো এক বৃষ্টি ভেজা দিনের স্মৃতি। কলকাতা গানের অনুষ্ঠানের শ্যুটিং করতে গেছি তাঁর বাড়ি। আর শিল্পী ডুব দিয়েছেন তাঁর স্মৃতি সত্তায়...ফেলে আসা দিনের গভীরে। আমাদের টিমটাও তো আলো করা, রয়েছেন শঙ্করলাল, বিক্রমজিৎ, জয়দীপ। আর আলপনাদি গেয়ে চলেছেন "মন বলছে আজ সন্ধ্যায়...", গাইছেন "ময়নার মা ময়নামতী..."। বলছেন রবিশঙ্কর, উস্তাদ আলি আকবর খানের গল্প। তেরো বছর বয়সে আকাশবাণীতে গাইতে শুরু করেন। ষাটটি ছবি ছাড়াও প্রায় শ'চারেক গান গেয়েছেন। তারপর হঠাৎই গান ছেড়ে দিলেন। স্বামীর সাথে চলে গেলেন বিদেশে। পড়ে রইলো উত্তাল জলসা...গানের রেকডিং...অসংখ্য ছবি...উত্তমকুমারের নায়িকার অফার।
শঙ্করবাবু প্রশ্ন করলেন,"এত নাম...প্রশংসা...পুজোর হিট গান ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে ভালো লাগলো?" স্মিত হাসলেন আলপনা। বিকেলের সেই মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন "খুব জেদ করে এসেছিলাম জানেন...আর একদিন হেলাফেলায় সব ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম...না কোনো রাগ...অভিমান নিয়ে নয়...এমনি...। লোকচক্ষুর আড়ালে এলাম...কিন্তু গানকে ছাড়লাম না...গানও আমায় ছাড়েনি...।"
গান ছাড়েনি আলপনাদিকে। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। আর আমার কাছে পড়ে থাকলো একটা বৃষ্টি ভেজা দিনের স্মৃতি...এক বর্ষীয়ান শিল্পীর সাহচর্য। কিছু ভালো লাগা মুহূর্ত। শুনেছিলাম, আমাদের অনুষ্ঠানের প্রযোজক বিক্রমজিৎকে ফোন করে শিল্পী জানিয়ে ছিলেন অশেষ কৃতজ্ঞতা...আমরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছি বলে...তাঁকে ভুলিনি বলে। কিন্তু সত্যি কি কাউকে ভোলা যায়? যদি জোর করে ভুলতে না চাই তাহলে...
লাইনটি সত্যিই অসাধারণ- "সত্যি কি কাউকে ভোলা যা?"
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
aR
Bangla Hacks
ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটা পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন