সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সেদিন আকাশ মেঘলা ছিলো। হরিণভাঙা নদীর জলে তখন বর্ষা মেঘের এক টুকরো আলো। আমরা ২০০৮ সালের বিভিন্ন সময় সুন্দরবনে গিয়েছি...থেকেছি...শ্যুটিং করেছি। সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের আসেপাশের গ্রাম গুলো ঘুরেছি। কথা বলেছি সেখানকার মানুষের সাথে। সেই সব প্রান্তিক মানুষ যাঁরা মাছ, কাঁকড়া, মধু সংগ্রহ করেন। কথা বলেছি বনরক্ষীদের সঙ্গে যাঁরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে আগলে রেখেছেন পৃথিবীর এই বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে। শুনেছি তাদের মুখ থেকে এই অনুকূল পরিবেশে জীবন নির্বাহের গল্প। আমি আর আমার চিত্রগ্রাহক বন্ধু অমিত সারাদিন ঘুরে বেড়িয়েছি জঙ্গলের আনাচে-কানাচে।
আসলে সেই সময়ে আমরা একটা তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের ওপর নির্মিত এই তথ্যচিত্র এমন কিছু দুর্লভ মুহূর্তের সাক্ষী যা সাধারণত আমরা দেখতে পাইনা। মার্চ-এপ্রিল মধু সংগ্রহের মাস। আমরা ঘুরেছি সেই মউলেদের সাথে। দেখেছি তাদের মধু সংগ্রহ করার পদ্ধতি। খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি জীবনের ঝুঁকিকেও।
এই জঙ্গল এবং এখানকার প্রান্তিক মানুষদের নিয়েই গড়ে উঠেছে প্রায় চল্লিশ মিনিটের তথ্যচিত্র Sundarban-A Heritage Forest। এই তথ্যচিত্র আসলে সুন্দরবনকে আরও একবার ফিরে দেখার...তাকে উপলব্ধি করার এক প্রয়াস। অষ্টম সমাজ সংযোগ চলচ্চিত্র উতসব, ২০০৯-এ ছবিটি দেখানো হবে নন্দন প্রেক্ষাগৃহে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন