Oscar
কিছুক্ষণ আগে শেষ হল ৮১ তম আকাডেমি পুরষ্কারের বিশেষ অনুষ্ঠান। Slumdog Millionaire জিতে নিল আটটি পুরষ্কার। শ্রেষ্ঠ ছবি, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত, শ্রেষ্ঠ শব্দ সৃজন, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ নিজস্ব সঙ্গীত, এবং মূল গল্প থেকে পরিগৃহীত শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য। তথ্যচিত্রে পিঙ্কির হাসিকেও অমান্য করতে পারলো না অস্কার। হাসি মুখে পিঙ্কি দাঁড়ালো লাল কার্পেটে। দাঁড়ালো মুম্বাইয়ের সেই সব বস্তির ছেলে মেয়েরা যারা তাদের সব স্বপ্নের শুরুটা তো অবশ্যই দেখতে পায় কিন্তু শেষটা মাঝপথে থেমে যায় পুরোনো প্রজেক্টারের মতোই।
আমি ঘুমচোখে উঠে টিভির সামনে...অনেক ভারতীয়ের মতো প্রতীক্ষায় কোনো একটা কিছু ম্যাজিক ঘটে যাওয়ার। আমি প্রতীক্ষায় স্বপ্ন পূরণের...প্রতীক্ষায় বলতে পারার, জয় হোক। কিন্তু কার জয়? কিসের জয়? সকালবেলায় বন্ধু ফোন করে বললো " আউট সোর্সিং কিন্তু বন্ধ...ডলারের গন্ধ এখন অনেকেই আর শুকতে পাবেন না...অতএব অস্কার নিয়ে ভুলে থাকো।" তার কিছুক্ষণ পরেই রহমান গাইবেন জয় হো...। অস্কারে শুনতে পাবো প্রিয় লেখক গুলজারের নাম। দেখতে পাবো গোটা স্লামডগ টিমের ম্যাজিক চেঞ্জ। আর পিঙ্কির গ্রামে...সেই প্রত্যন্ত গ্রামে বিস্ফারিত নিউজ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হতভম্ব পিঙ্কির মা। কিছু বলতে পারার...না পারার এক উতকন্ঠায় যিনি মগ্ন। একবার অনুষ্ঠান মঞ্চে...একবার বিরতিতে... সাইনিং ইন্ডিয়ার ঝলকে... ঠিক তার পরেই ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে...সেখানে অপেক্ষারত আত্মীয়রা...ক্যামেরার চকিত চলন। আবার আমাদের সামনে একটা সফল চিত্রনাট্যের রূপায়ণ। এই রকমের দ্রুত গতি আর বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে যাওয়ার চিত্ররূপ আমরা দেখেছি স্লামডগে। আমরা মুগ্ধ। আমরা মুগ্ধ যখন রহমান বলেন আমার সাথে মা আছেন...আমি বরাবরই ভালোবাসার পক্ষে...। বুকের কাছে মুষ্টিবদ্ধ হাত। রেসাল পুকুট্টি বলেন এক নৈশব্দের মধ্যে শব্দ সৃজনের কথা। বলেন এটা শুধু মাত্র একটা পুরষ্কার নয়...এটা ইতিহাসের হস্তান্তর।
সত্যিই এই বি-সম সময়ে দাঁড়িয়ে আমি সেই ইতিহাসের সাক্ষী থাকলাম। যে সময়ের সাক্ষী থাকলো Slumdog Millionaire এবং Smile Pinki। ছবি গুলো নিয়ে তর্ক চলুক...পুরষ্কার নিয়েও...। সেখানে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ অমর্ত্য সেনের মতে আমরা তর্কপ্রিয় ভারতীয়। যে ভারতের এখনো বেশ গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষ রাতে শুতে যান আধপেটা খেয়ে। চাকরী হারান...কর্মহীন হন আরো অসংখ্য মানুষ...প্রাথমিক চিকিতসার সুযোগটুকু না পেয়ে হারিয়ে যান চিরতরে- তাদের কাছেই সবথেকে দরকার হয় একটা বড় ম্যাজিকের...একটা বড় সাফল্যের...একটা আঁকড়ে ধরার বড় অবলম্বনকে।
আমি সেই স্বপ্নে বিভোর।
হয়তো আপনিও।
আমার ভারতও...।
জয় হোক...।
আমি ঘুমচোখে উঠে টিভির সামনে...অনেক ভারতীয়ের মতো প্রতীক্ষায় কোনো একটা কিছু ম্যাজিক ঘটে যাওয়ার। আমি প্রতীক্ষায় স্বপ্ন পূরণের...প্রতীক্ষায় বলতে পারার, জয় হোক। কিন্তু কার জয়? কিসের জয়? সকালবেলায় বন্ধু ফোন করে বললো " আউট সোর্সিং কিন্তু বন্ধ...ডলারের গন্ধ এখন অনেকেই আর শুকতে পাবেন না...অতএব অস্কার নিয়ে ভুলে থাকো।" তার কিছুক্ষণ পরেই রহমান গাইবেন জয় হো...। অস্কারে শুনতে পাবো প্রিয় লেখক গুলজারের নাম। দেখতে পাবো গোটা স্লামডগ টিমের ম্যাজিক চেঞ্জ। আর পিঙ্কির গ্রামে...সেই প্রত্যন্ত গ্রামে বিস্ফারিত নিউজ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হতভম্ব পিঙ্কির মা। কিছু বলতে পারার...না পারার এক উতকন্ঠায় যিনি মগ্ন। একবার অনুষ্ঠান মঞ্চে...একবার বিরতিতে... সাইনিং ইন্ডিয়ার ঝলকে... ঠিক তার পরেই ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে...সেখানে অপেক্ষারত আত্মীয়রা...ক্যামেরার চকিত চলন। আবার আমাদের সামনে একটা সফল চিত্রনাট্যের রূপায়ণ। এই রকমের দ্রুত গতি আর বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে যাওয়ার চিত্ররূপ আমরা দেখেছি স্লামডগে। আমরা মুগ্ধ। আমরা মুগ্ধ যখন রহমান বলেন আমার সাথে মা আছেন...আমি বরাবরই ভালোবাসার পক্ষে...। বুকের কাছে মুষ্টিবদ্ধ হাত। রেসাল পুকুট্টি বলেন এক নৈশব্দের মধ্যে শব্দ সৃজনের কথা। বলেন এটা শুধু মাত্র একটা পুরষ্কার নয়...এটা ইতিহাসের হস্তান্তর।
সত্যিই এই বি-সম সময়ে দাঁড়িয়ে আমি সেই ইতিহাসের সাক্ষী থাকলাম। যে সময়ের সাক্ষী থাকলো Slumdog Millionaire এবং Smile Pinki। ছবি গুলো নিয়ে তর্ক চলুক...পুরষ্কার নিয়েও...। সেখানে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ অমর্ত্য সেনের মতে আমরা তর্কপ্রিয় ভারতীয়। যে ভারতের এখনো বেশ গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষ রাতে শুতে যান আধপেটা খেয়ে। চাকরী হারান...কর্মহীন হন আরো অসংখ্য মানুষ...প্রাথমিক চিকিতসার সুযোগটুকু না পেয়ে হারিয়ে যান চিরতরে- তাদের কাছেই সবথেকে দরকার হয় একটা বড় ম্যাজিকের...একটা বড় সাফল্যের...একটা আঁকড়ে ধরার বড় অবলম্বনকে।
আমি সেই স্বপ্নে বিভোর।
হয়তো আপনিও।
আমার ভারতও...।
জয় হোক...।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন