ঠিকানা লেখা নেই_৪


মাঝে মাঝেই অরিন্দম গাড়ি পাঠাতো। সেই তো শুটিং এর প্রথম দিন থেকেই। তার সেই সুন্দর গাড়ি। নিজেও চলে আসতো কখনো গঙ্গার পাড় ধরে গল্প করতে করতে যাওয়ার অছিলায়। দেবালয় মাঝে মাঝে পাঠাতো প্রোডাকশনের গাড়ি। আমরা শুটিং করে মরবো আর তুই দুপুরে ঘুমোবি? টিপটপ উর্দীধারী ড্রাইভার বাড়ির সামনে এসে ফোন করতো। আমি ছুটতাম শুটিং দেখতে।
তখন কোভিড। তখন নিয়মের বেশ বেড়াজাল। শুটিং টিমে কোভিড ইন্সপেক্টর ঘুরে বেড়ায়। তারই তো দশ পনেরো জনের টিম। শুটিং যেতে হলে আগে থেকে কোভিড পরীক্ষা করতে হয়। সে নানান ঝামেলা। কিন্তু তাই বলে কি শুটিং দেখা বন্ধ হবে? যে গল্পটা আস্তে আস্তে তৈরি হতে দেখেছি । চিত্রনাট্য হয়েছে। শুনেছি। তার শুটিং দেখবো না? লাইভ সাউন্ড রেকর্ডিং হবে। দু দুটো ক্যামেরা টিম। এতো এতো লোকজন। কলকাতার টিম এবং বোম্বের টিম একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। সে এক হইহই কান্ড রইরই ব্যাপার।
আজ হঠাৎ সব কিছু মনে পড়ে গেল। সিরিজের পোষ্টার দেখে। মনে পড়ে গেল এক বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যের কথাও।

দেবালয় আর অরিন্দম। মাঝে মাঝে ওরা যা করতো। আর যা করতো না তার একটু একটু সাক্ষী ছিলাম আমি। আজ খুব আনন্দের দিন। তাই টুকরো টুকরো অনেক কিছু মনে পড়ছে। আনন্দ ভাগ করলে বাড়ে। তাই সেই আনন্দ ভাগ করে নিলাম সবার সাথে।

অনেক শুভেচ্ছা অরিন্দম এবং দেবালয়কে। তাদের পুরো টিমকে। 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা গুলি