বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

 

গোরা নকশালের সাথে দেখা হয়নি তাঁর। কিন্তু জেলের মধ্যে ঘুরে বেড়াতো তাঁর কবিতা। গুনগুন ফিসফিস করে। কখনও দেওয়ালের লেখায়। অনেক দিন বাড়ি ফেরার পরও। তার বইয়ের তাকে টুকনু কি পেয়েছিল সেই কবেকার পুরনো বইটা? যা আরও অনেক পরে তাকে চিনতে শিখিয়েছিল একটা সময়কে। একটা মানুষকে। একটা আগুনের রক্তস্রোতকে? এইসব থেকে অনেক দূরে ছিলেন ইন্দুবালা তাঁর ভাতের হোটেল নিয়ে। তবুও একরাতে অজানা অলোক ভাত খেতে এসে ভুল করে ফেলে যায় একটা কবিতার বই। লেখকের নাম দেখে চমকে ওঠেন ইন্দুবালা। যে ভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হলো সেই ভাইয়ের কাছে ছিলেন তো এই কবি। অলোক বলেছিল একদিন সে নাকি নিয়ে আসবে ক্ষীণকায় এই কবিকে। যিনি বলে ছিলেন শহরের রাস্তা দেওয়াল ভরিয়ে দিতে হবে কবিতার গর্জনে। অলোক ফিরে আসেনি তারপর আর। গঙ্গায় ভেসে গিয়েছিল তার লাশ কোন এক জ্যোৎস্নার রাতে। লেখকের সাথে দেখা হয়নি এক বিধবা বুড়ির। কিন্তু থেকে গিয়ে ছিলেন কবি বই হয়ে সেই কবেকার ছেনু মিত্তির লেনের বাড়িতে। এখনও আছেন পরম যত্নে অনেকের মনে। তাঁদের স্মৃতির মুগ্ধতায়। এই শহরে। তাঁকে এখনও দেখা যায় বিরাট লম্বা মিছিলে। প্রতিরোধের ব্যারিকেডে। এক তরুণ কবির সদ্য লেখা কবিতায়। আজ তাঁর জন্মদিন। আজ কয়েক পশলা বৃষ্টি হোক। সেই ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে অনেক দিন পরে হাঁটুন কবি। শহরের রুক্ষ দেওয়াল গুলো ভরে উঠুক স্লোগানে স্লোগান... কবিতার গর্জনে। শ্রদ্ধা। ❤️

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা গুলি