এই বেদনা ক্ষমা করো প্রভু
অনেক ছোট বেলায় তখন ক্লাস টু কিম্বা
থ্রিতে পড়ি আমার একবার হাম হয়েছিল। বাড়ি থেকে বেরোতে পারিনি টানা পনেরো দিন।
মশারির মধ্যে শুয়ে ছিলাম। দুধ সাবু খেতে খেতে এমন অবস্থা হয়েছিল তারপর ওই
সুখাদ্যটি আর কোনদিন মুখে তুলতে পারিনি। গৃহবন্দী ব্যাপারটি কি সেই প্রথম হয়তো
অনুভব করতে পেরেছিলাম? কিম্বা পারিনি। কারণ আমার একটা পাড়া ছিল তখন। বাড়ির জানলার
কাছে কেউ না কেউ এসে হাঁক দিয়ে জেনে যেতো কেমন আছে কল্লোল? ডাক্তার মেরী কিসকু তার
রোজ ই এস আই পেশেন্ট দেখে বাড়ি ফেরার পথে দুমকার গল্প নিয়ে হাজির হতো আমার বিছানার
পাশে। দুষ্টু হাতি গুলো কিভাবে ট্রেন লাইনের ওপরে দাঁড়িয়ে ট্রেন থামিয়ে দিতো
ডাক্তার কাকীমার কাছে প্রথম শুনি। যতক্ষণ না সব সাবুটা খেয়ে ফেলছি ততক্ষণ বসে
থাকতেন। থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মেপে অনেক অনেক আদর করে চলে যেতেন। জুটমিলের ছুটির
সাইরেন পড়লেই দয়ারাম তার বাসায় ফিরে যাবার আগে খোঁজ নিতো জানলার ঠিক ধারটাতে এসে।
ঠুলি গঙ্গা থেকে পয়সা কুড়িয়ে চোখ লাল করে এসে জেনে যেতো আমি কেমন আছি। গাব গাছে
ভিমরুলের চাকটা কত বড় হল সেটাও বলে যেত। মা তাকে গুড় দিয়ে রুটি পাকিয়ে দিতো। আর
আমার হাতে ধরিয়ে দিতো সকালের সাবুর বাটি। রাঙা গঙ্গার ধারের বাড়ি থেকে গোরা
কাকুকে দিয়ে খবর নিতো। কখনো হাতে দিয়ে পাঠাতো আমসত্ত্ব। গোরা কাকু দাদাকে কে সি
নাগের অঙ্কের বই থেকে অঙ্ক করাতে করাতে ঘুমিয়ে পড়তো। আমি বিছানায় চুপ করে শুয়ে
শুনতাম মিঠাই বরফ টুং টুং করে ঘন্টা বাজিয়ে চলে যাচ্ছে। বড়মা দুর্গাপুর থেকে হলুদ
রঙের পোষ্টকার্ডে সবার সাথে আমাকেও চিঠি লিখতো। সেগুলো বালিশের পাশে রেখে দিতাম।
হাসান চাচা চিঠি দিতে এলে একবার দরজা থেকে উঁকি মেরে দেখে যেত আমাকে। সেই আশির
দশকের গোড়ায় বাড়িতে বাড়িতে টিভি ছিল না। ফোন ছিল না। কিন্তু খোঁজ খবর নেওয়ার মানুষ
ছিল। অনেক দূর থেকে দেখলে ওটা আমার কেমন যেন রূপ কথার দেশ বলে মনে হয়। শ্রীকৃষ্ণ
সিনেমা হলে ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ এলে হইচই করে লোক দেখতে যায়। কিম্বা আর একটু এগিয়ে
বালিখালের ব্রিজ ক্রশ করে উত্তরপাড়ার গৌরীতে স্টিফেন স্পিলবার্গের যশ দেখে কেউ আর
গঙ্গায় নামতেই চায় না। এই সব কিছু ঠুলি এসে আমায় খবর কাগজের মতো শুনিয়ে যায়। আর
ঠুলির দুষ্টুমির খবর শোনায় বাগানের মালী। দুধ বিক্রি করা হারু। চক্রাকারে এটা চলতে
থাকে।
একটা বাড়িতে গোটা পাড়া ফোন করতে যায়। একটা বাড়ির
টিভি বড় হল ঘরে রাখা থাকলে গোটা পাড়া সেই টিভি দেখে। ছন্দা সেনের খবর পড়া মুখে মুখে
ছড়িয়ে যায়। পাড়ায় একটা গাড়ি থাকলে একশোটা বাচ্চা সেই গাড়ির কোলে কাঁখে চেপে মাঝে
মাঝেই ঘুরতে যায়। কারো বাড়িতে বাথরুমে প্রথম শাওয়ার বসানো হলে সেই ঝরনার তলায় গোটা
পাড়া হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সবার চোখে যেন ‘মুঙ্গেরী লাল কে হাসিন স্বপ্নে’র সুরমা
লাগানো থাকে। গঙ্গার ধার দিয়ে হাঁটলে একই সাথে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার।
হামের ছুটির পর তাই লম্বা একটা ছুট। পাড়ায় পাড়ায় টো টো করে বেড়ানো। সবার জিজ্ঞাসা
ভালো হয়ে গেছিস তো? রাধারমণের মন্দিরে লুচি। গুরুদ্বারে সুজি। মসজিদের পাশের বাড়ি
আসমাদের শিমাই। ডাক্তার কাকিমার বাড়িতে বানানো কেক। আর একটু হাঁটলেই পদ্মাসনে বসা
ওই ‘টাকা মাটি আর মাটি টাকা’র লোকটার বেলুড় মঠের আশ্রমের মন ভোলানো খিচুড়ি। শ্রীকে
গল্প বলতে বসলে চোখ গোল গোল করে থাকে। বিশ্বাসই করতে চায় না এমন একটা সময় ছিল বলে।
“তুমি না কাকা হেবি গল্প বানাও”। ও উঠে যায়। অন লাইনে ক্লাস হবে। কবে স্কুল খুলবে
ঠিক নেই। ওরা অন লাইনে ক্লাস করে। অন লাইনে লুডো খেলে। ইন্সটার ম্যাসেনঞ্জারে
আড্ডা দেয়। আমি নিউজ দেখি। খবরের কাগজ পড়ি। ঈপ্সিতার ম্যাসেজ আসে। লেখা হলো?
কিন্তু কী লিখবো আমি? পরিসংখ্যান
দিয়ে, যুক্তি দিয়ে, তথ্য দিয়ে যেসব সুন্দর লেখা গুলো বেরোচ্ছে গুরুতে সেটাই কি
যথেষ্ট নয়? তবুও ঈপ্সিতা বলে লিখুন ঘর বন্দী হওয়াটাই লিখুন। আমি মনে মনে ভাবি কি
লিখবো? সবজী ওয়ালার ধর্ম দেখে সবজী কেনার ঘটনা? কী লিখবো? এক ডাক্তার তার প্রিয়
বন্ধুর শেষ কৃত্য করতে গিয়ে মার খাচ্ছেন? কী লিখবো? স্বাস্থ্য কর্মীদের বলা হচ্ছে
বাড়ি ছেড়ে দিতে। কী লিখবো? ধর্ম দেখে রোগ ভাগ করা হচ্ছে? কী লিখবো? কাতারে কাতারে
শ্রমিক চলেছেন বারোশো চোদ্দোশো মাইল হেঁটে। এক মা তার সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে
ছুটছেন। গ্রামের কাছে এসে মারা যাচ্ছে আর হাঁটতে না পারা ছোট্ট মেয়েটি। ডাক্তার
সাজিয়া বাংলাদেশ থেকে জানাচ্ছেন “আমি জানি না আমার আড়াই বছরের সন্তানকে দেখতে পাবো
কিনা ভাইয়া। ওরা বলছে শেষ পর্যায় না আসলে প্রটেকশান কিট দেবে না”। রবীশ কুমার
প্রত্যেকদিন প্রাইম টাইমে আসছেন। আমার ভারতবর্ষের যে ছবি তুলে ধরছেন সোশ্যাল
ডিসটেন্সের নামে, যে অসভ্যতা হচ্ছে, এই
ভারত আমি আগে দেখিনি। আমার চারপাশের লোকজন অচেনা হয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও কি?
আমার শুধু লিখতে বসেই মনে হতে থাকছে
এর আগে কত বার আমাকে এই ভাবে ঘরবন্দী হয়ে যেতে হয়েছিল? ভাবতে বসলে দেখতে পাই তিনটে
বড় ঘটনা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমাদের দেশের দুই রাষ্ট্র প্রধানের হত্যা। আর বাবরি
মসজিদ ধ্বংস। বাড়ি থেকে আমরা কয়েকদিন বেরোতে পারিনি। কার্ফু জারী হয়েছিল শহরে। আমি
দেখেছিলাম কিভাবে আমার পাড়া এক শীতের দুপুরে গুরুদ্বার পাহাড়া দিয়েছিল। গোটা
পাঞ্জাবি মহল্লায় কারো গায়ে যাতে আঁচড়টা না পড়ে তারজন্য সারা রাতে জেগে ছিল। যখন
সারা ভারত জুড়ে পাঞ্জাবী নিধন চলছিল সেখানে আমাদের অঞ্চল ছিল দুর্গ। অনেক বড় হয়ে
তারপর বুঝেছিলাম কোন রকম ভাবে কোন এক সম্প্রদায়কে হত্যাকারী বলে লেলিয়ে দেওয়ার
পরিণাম কী হয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসে বুঝতে পেরেছিলাম পাড়ার মুদীখানার দোকানেও লাইন
পড়ে। জি টি রোডের ওপরে কার্ফু চলার সময় ক্রিকেট খেলা যায়। অনেক রাতে মিলিটারি
মার্চ পাস্ট জানলার ফাঁক দিয়ে দেখা যায়। ধর্মের নামে বজ্জাতি করতে গেলে যে এক সাথে
এক ভাবে রোখা যায় আমার বালী চিনেছিল। উত্তরপাড়া চিনেছিল। তখন হোয়াটসএ্যাপ ছিল না।
মিথ্যা হিংসা ছড়ানোর উপায় গুলো অন্য ছিল। কিন্তু ব্যক্তি ধরে ধরে এইভাবে ভেতর থেকে
নৃশংস করার অস্ত্র ছিল না সেই সময়ে। থাকলে কী হতো জানি না। এই বিষক্রিয়ার ফল যে কি
সুদূর তা হয়তো আমরা নিজেরাও অনুমান করতে পারছি না। কিম্বা পারছি আর এটাই একটা অন
লাইন গেইমের মতো খেলে যাচ্ছি।
লক ডাউন ঘোষণার দিন অনেক রাতে
প্রচন্ড বাজ আর বৃষ্টির মধ্যে আমার ফোন বেজে ওঠে। জামাইবাবু জানায় পিজি থেকে ফোন
করেছে আমার দিদির অবস্থা খারাপ। এক্ষুনি আসতে হবে। আমার তখন দুই জ্বর। যেতে পারিনি
আমি। জামাইবাবু কোন রকমে একটা গাড়ি ভাড়া করে ছুটেছিল। তার কয়েকদিন আগেই ভর্তি করে
এসেছিলাম দিদিকে। ক্যানসারের সাথে যুদ্ধ করছিল সে। বারবার জানতে চাইতো এবারের
ধাক্কাটা সামলে নিতে পারবো তো রে? আমার থেকে মাত্র বছর পাঁচেকের বড় দিদির চোখের
দিকে তাকিয়ে মিথ্যে বলতো হতো বারবার। “এই তো অপারেশান করলে ঠিক হয়ে যাবে। কেমো তো
ডাক্তার বন্ধ করে দিয়েছে”। কিন্তু জানতাম কেমো কেন ডাক্তার বন্ধ করে দিয়েছে।
জানতাম অপারেশান হলেও হয়তো আর কিছু করার থাকবে না। পিজি ভর্তি নিতে চাইছিল না
শেষের দিকে। আমরাও ওর কষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম না। অনেক অনুরোধে ভর্তি নিয়েছিল
হসপিটাল। কি প্রচন্ড আশা ছিল দিদির এই ভর্তি হওয়াটা ওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসবে। কিন্তু
ফিরে আসতে পারেনি সে। লক ডাউনের মধ্যে দিদিকে দাহ করে বাড়ি ফিরে যখন স্নান করছি এই
প্রথম দেখতে পেলাম আমার গায়ে ফুসকুড়ির মতো কি যেন হয়েছে। ডাক্তার দেখালাম রাতে।
বললেন চিকেন পক্স। আমি বিছানা নিলাম। তারপর একে একে বাড়ির সবাই। এক সাথে গণহারে
অসুস্থ হয়ে পড়া হয়তো জীবনে এই প্রথম। এবং সেটা যে কি অসহনীয়। তাহলে যারা এক সাথে
গাদাগাদি হয়ে কোয়ারিন্টাইনে নজরবন্দী আছেন? যাদের প্রিয় মানুষ যুঝছেন মহামারীর
সাথে। পাশের প্রতিবেশী যাদের সাথে ভালো করে কথাও বলে না। খোঁজ নেওয়া তো দূরের কথা।
এতো কিছু ভাবতে গেলে মাথা ঝিমঝিম করে। অসুস্থতার সময়েই মনে পড়ে যাচ্ছিল সেই ছোট্ট
বেলার হামের দিন গুলোর কথা। মনে পড়ে যাচ্ছিল সেই সময়ে মানুষের খোঁজ নেওয়ার ছবি
গুলো। এখন একটা ফ্ল্যাটের মধ্যে কয়েকজন বন্ধু বান্ধব আর আত্মীয় স্বজনের ফোনে খোঁজ
নেওয়া ছাড়া কিছু নেই। তবুও ফোনের মধ্যে সেই আন্তরিকতা টের পাচ্ছিলাম। তার সাথেই
চোখে পড়ছিল ওষুধের আকাল। জীবনদায়ী ওষুধ দেওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া যাচ্ছে না। এর সাথে
একে একে আসতে থাকছে নানা চেনাশুনো মানুষের মৃত্যুর খবর। প্রত্যেকটাই যে করোনাতে
এমনটা নয়। কিন্তু যারা তাদের খুব কাছের মানুষের শেষ কৃত্যেও যেতে পারছেন না। যাদের
বাড়িতে শুয়ে আছেন রোগগ্রস্ত রোগী। আঁতকে উঠতে হয় তাদের কথা ভেবে। আমি অনেক দূরে
নিরাপদে শান্তি কল্যানে আছি। বাড়িতে রোজ নিয়মিত রান্না হচ্ছে। নানা রকমের পদ।
টিকটকে সাংসদ নায়িকার নাচ দেখছি। বন্ধুদের বানানো শর্ট ফিল্ম। গান। আবৃত্তি। নানা
রকমের খেলা। এক মৃত্যু যজ্ঞের উৎসব যেন।
ঠিক তার পাশাপাশি সাইক্রিয়াটিস্ট
ডাক্তার বন্ধু দিল্লী থেকে ফোন করে বলছে আগের থেকে বেড়ে গেছে মানুষের মানসিক রোগের
পরিমান। খবরে পরিসংখ্যান বলছে বেড়ে গেছে বাড়ির মধ্যের নৃশংসতা। তার আগে গোটা
শীতকাল জুড়ে আমরা দেখেছি রাষ্টের সন্ত্রাস। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন পোষাক দেখে
চিনে নেবো আমরা সবাইকে। রাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন এমন ভাবে ব্যালটের বোতাম টিপুন
যাতে ওরা ধাক্কা খায় বেশী। আমরা দেখেছি দিল্লীর মহল্লায় মহল্লায় আগুন। আমরা ভুলে
যাচ্ছি। আমরা ভুলে যাচ্ছি। আমরা ভুলে যাচ্ছি।
কিছুক্ষণ আগে আরও একদফা যখন লক ডাউন
বাড়ানোর কথা হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে বন্ধু জানালো সে বন্ধ করে দিচ্ছে তার কারখানা।
ব্যাঙ্কে কাজ করা বন্ধু জানালো ইতিমধ্যে অনেকের কাছে আসতে শুরু করেছে চাকরী চলে
যাওয়ার চিঠি। আর যারা চাকরী করতো না। দিন আনি দিন খাই। তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
তারা তো আর রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক গুলো থেকে মোটা টাকা গাপিয়ে বাইরে যেতে পারেনি।
তাদের বলা হয়েছে তোমরা আসলে দেশের বানর সেনা। লঙ্কার যুদ্ধে প্রান দেওয়া ইতিহাসে
লেখা থাকবে। না খেয়ে, হাজিরা দিয়ে, ভোট দিয়ে, তোমরা আমাদের জেতাবে। আমরা তোমাদের
শাসন আর শোষণ করবো দিনের পর দিন। বছরের পর বছর। যুগের পর যুগ। ইন্দ্র বললো আচ্ছা
কল্লোলদা তোমার কি কখনো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে এই দেশে লেবারদের জন্য একটা বিশাল
অফিস আছে। সেখানে অনেক লোক কাজ করে। মোটা টাকা মাইনে পেয়ে আই এ এস অফিসারের গাড়ি
চেপে বাড়ি যায়। অথচ কোন প্ল্যান? তোমার কি বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে এই দেশে বিরোধী
কোন দল আছে? তাদের ভয়েজ আছে?
ফোনের শব্দ...হোয়াটসএ্যাপের
বাণী...ফেসবুকের যুদ্ধ আমার কাছে ক্যাকাফোনির সৃষ্টি করে। আমি নেটফ্লিক্স খুলি।
আমি এ্যামাজনের প্রাইম ভিডিওতে নিমগ্ন হই। মুবিতে পদাতিক দেখি। আরও বেশি বেশি করে
রান্না করতে থাকি। বাজার করতে থাকি। গান গাইতে থাকি। ছবি বানাতে থাকি। কাউকে হাজার
টাকা ডোনেট করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে থাকি। আসলেই আমার কাছ থেকে আমি পালাতে
থাকি। যাকে আমার প্রাজ্ঞতা বলে জানতাম তাই আমার কাছে অজ্ঞানতা হয়ে ফিরে আসতে থাকে।
এই গভীর বেদনা লুকিয়ে রাখতে আমি হাজারটা মুখোশ পরি। ঠিক তখনি নতজানু হয়ে ক্ষমা
চাওয়ার মতো সাহসও আর শিরদাঁড়ায় থাকে না।
গুরুচন্ডালীতে প্রকাশিত। এপ্রিল, ২৮, ২০২০
ছবি- গুগুল ইমেজ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন