গোরা নকশাল (আট)
“এখানকার চোখ ধাঁধানো ঝলমলে আলো গুলোও অন্ধকারের চোরের মতো লোকের পকেট কাটে”।
আট
মাথার কাছে
অনবরত বেজে চলেছে মোবাইলটা। আমি তখনো ঘুমের ঘোরে। হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে চলেছি তাকে।
স্বয়ংক্রিয় দূরাভাষের যন্ত্রটি জানাচ্ছে এই এতো ভোরের সংবাদ সুখের নয়। পূর্বের
অভিজ্ঞতা বলছে এই বার্তা এনে দিতে পারে অমোঘ নিষ্ঠুর পরিণতি। ঠিকুজি, কুলজি বলছে
এই বংশের বেশিরভাগ মৃত্যু শীতকালীন। এবং ঊষা লগ্নে। জড়তা, স্বপ্ন, আখ্যানের অঙ্গ
সজ্জা ত্যাগ করে জানতে পারি এই মুহূর্তে টিবি হসপিটালে ১৩৮ নম্বর বেডের পেশেন্টের
অবস্থা সুবিধের নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাজির হওয়া দরকার।
আমরা তারও
ঘন্টাখানেক পরে হাজির হয়েছিলাম।
জানলার ধারে
গাছগুলো শিশিরে আর কুয়াশায় স্নান করেছিল অবিরত। কোনো এক কালে কোনো এক মা তার
একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে একটা হসপিটাল করে দিয়েছিলেন মুমূর্ষ টিবি
রোগীদের জন্য। সবে তখন টিবির চিকিৎসা শুরু হয়েছে। হসপিটালের সাল তারিখ বলছে তার
কিছুদিন আগে চলে গেছেন এক কিশোর কবি। যিনি পূর্ণিমার চাঁদ দেখে বলেছিলেন “ঝলসানো
রুটি”।
দাদা সেই
ছোট্ট বেলার মতো আমার হাত ধরে। আমি এগিয়ে যাই।
লম্বা
করিডোরটাকে মনে হয় একটা বিশাল স্টেজ। ঘুমন্ত
রোগগ্রস্ত মানুষ গুলোকে মনে হয় সেদিনের সেই জনসভার একমাত্র সাক্ষী। হাততালি পড়ে।
ঝলকে ওঠে ফ্ল্যাশের আলো। এক পাদ প্রদীপের তলায় এই যুগের এক অখ্যাত মেগা সিরিয়াল
লেখক হাত জোড় করে দাঁড়ায়। ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে যায় আখ্যানের পরিসর। মাইকের আওয়াজ
গমগম করতে থাকে। এক তরুণকবি গালে হাত দিয়ে খুব মিষ্টি মুখ নিয়ে তাকিয়ে থাকেন
রজনীগন্ধা আর ফটোফ্রেমের আড়াল থেকে। টুকনু একবার তাকায় তার সামনের সম্মিলিত জনগণের
দিকে। কোথাও খুঁজে পায় না তাকে যে এই কবিতাটা প্রায় রোজ বলে বলে মুখস্থ করিয়ে দিয়েছে। কেমন
ভাবে স্টেজে উঠে বলতে হবে, দাঁড়ি, কমা, হসন্ত দেখে নিশ্বাসের গতি থামাতে হবে। কোন
লাইনে কোন শব্দবন্ধে গলার খাদ উঠবে, পড়বে, কোরাসের মতো এগিয়ে যাবে। কোথায় গিয়ে
থামতে হবে, আর কোথায় গিয়ে একটুও থামবে না সেইসব গোপন স্বর প্রক্ষেপণের কারিগরী
শিখিয়ে
দিয়েছে
যে টুকনুকে, না সে কোথাও নেই।
সেই মুখভর্তি কোঁকড়ানো দাড়ি, মন ভালো করে দেওয়া
হাসি। মন থেকে না মোছা মণির মামদোটা কই? যে টুকনুকে এক মুহূর্তের জন্য ছেড়ে যায়
না। অনেক দূরে থেকেও যার ছায়া, প্রচ্ছায়া অনুভব করে সে।
মুহূর্তের
সময় মুহূর্তেই কেটে যায়।
সামনের সারি
থেকে গুঞ্জন ওঠে “ভুলে গিয়েছে রে টুকনু...”। উইংসের আড়ালে দাদা একটু অস্থির হয়।
দূরে দেখতে পাই হাঁদা চায়ের দোকানের বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে। হয়তো মণি, ঠাম্মা, মা
সবাই বাড়ির জানলায় এতোক্ষণ। বাড়ির পেছনের লাইটপোস্টে বাঁধা মাইকে আমার নাম শোনা
মাত্র সবাই ছুটে এসেছে। মনে মনে দুষ্টু নকশালটা কি করছে ভাবার চেষ্টা করলো টুকনু।
হয়তো ওর খুব হিংসে হয়েছে। টুকনু কবিতা বলছে দেখে, আজ বিকেলের পর থেকে একটুও উঠোনে
নামেনি সে। এক সপ্তাহ ধরে কবিতা আবৃত্তি শুনেছে পাঁচিলের ওপর বসে বসে। গলা ফুলিয়ে
যেই বকম বকম করতে এসেছে ঠিক তখনি টুকনু ওর দিকে তাকিয়ে বলেছে। কী বলেছে? ...একি
ভুলে যাচ্ছে নাকি সত্যি টুকনু কবিতার প্রথম লাইনটা? ইশ...এক্ষনি সবাই হাসতে শুরু
করবে। এই যে এতবার সে প্র্যাক্টিস করলো। এই যে এতোবার সে বিজয় কাকুর জামরুল গাছকে
শোনালো। জুটমিলের রামদেওকে শোনালো, জমাদার বৌ প্যায়ারীকে শোনালো। গঙ্গায় পয়সা
কুড়োতে কুড়োতে ঠুলি শুনলো। বুড়ির মার পোয়াতি গোরুটা শুনলো...আর এখন? এতো লোকের
মাঝে সে প্রথম লাইনটাই ভুলে গেল? হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে টুকনুর। জিভের ওপর, মুখের
ভেতর ভিড় করে আসে থুথুর স্রোত। ঢোক গিলতে গেলে কোথাও গলার কাছে ব্যাথা করে। ছোট্ট
দুটো চোখ তন্ন তন্ন করে একজনকে খোঁজে। নাহ...সেই লোকটা কোথাও নেই। কোত্থাও না। যে
বলেছিল আসলেই আমরা কিছু ভুলে যাই না টুকনু...। আমাদের সব কিছু ভুলিয়ে দেওয়া হয়। কে
ভুলিয়ে দিল টুকনুকে? ওই পাজি হতচ্ছাড়া নকশালটা? একদিন যদি না তোর ওই মোরগের মতো
অবস্থা হয় তাহলে আমার নাম...। থেমে যায় টুকনুর ভাবনাটা। মোরগ...ঠিক...মনে পড়ে
গেছে...মোরগ...।
“একটি মোরগ
হঠাৎ আশ্রয় পেয়ে গেল
বিরাট
প্রাসাদের ছোট্ট এক কোণে
ভাঙা
প্যাকিং বাক্সের গাদায়
আরো দু-তিনটি
মুরগীর সঙ্গে।
আশ্রয় যদিও
মিললো,
উপযুক্ত
আহার মিললো না।”...
বাঁধ ভাঙা
হাততালি’র মধ্যে গড়গড় করে বলে চললো টুকনু কবিতাটা। একবারও না থেমে, এতোটুকু না
আটকে। কিন্তু টুকনুর তো আনন্দ হবার কথা। ওই তো ডায়াসে উঠে দাদা এসে তাকে নামিয়ে
নিয়ে যাচ্ছে কোলে করে। একি টুকনুর চোখে জল কেন? কাঁদছে টুকনু? নাকি এটাও তার একটা
বদমাইশি?
“মন খারাপ
তোমার টুকনু?” ঠাম্মা ল্যাম্ফোর আলো জ্বেলে সামনে ধরেন। “বুঝতাছি গোরার জন্য তোমার
মন খারাপ। ওরে আমি কেমন বকুম একবার দেখিস তুই”। ঠাম্মা গোরা নকশালকে বকেছিল কিনা
টুকনুর মনে পড়ে না। সে জানে তার ঠাম্মা মিথ্যে কথা বলছে। এই বাড়িতে গোরা নকশালের
নামে কেউ খারাপ কথা বলে না। কেউ বকে না। সবাই তার সামনে আস্তে আস্তে কথা বলে।
গঙ্গার ধারে চিলে কোঠার বই ভর্তি ঘরে কত মানুষ আসে, কত আলোচনা হয়, কত লোক কত
অভিযোগ জানায়, গোরা নকশাল চুপ করে শোনে। লুকোনো টুকনুকে দেখতে পেলে দাড়ি ভর্তি মুখে
হাসির জোয়ার ওঠে মাঝে মাঝে। হঠাৎ কাশির দমক বাড়লে গোরা নকশাল কোথায় যেন চলে যায়।
বাড়ির কেউ কিছু জানে না। “লোকটা অনেক কিছু লুকোয়। অনেক কিছু...।” একদিন বাবা, মাকে
বলছিল কথাগুলো। মটকা মেরে ঘুমের ভান করে পড়ে থেকে সব শুনে নিয়েছে টুকনু। শুনে
নিয়েছে এক উদ্বাস্তুর লড়াইয়ের কিছু টুকরো অংশ। আর লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেছে কাশির দমকে
মুখ দিয়ে রক্ত উঠেছে গোরা নকশালের। হাতের সাদা রুমাল লাল হয়ে যাচ্ছে। ভয় পেয়েছে
টুকনু। কাউকে বলেনি সে কথা কোনোদিন। তারপরে অনেক অনেক পরে...। যাদবপুরে যখন সে ফিল্ম
নিয়ে পড়তে গেছে, তখন সাদা পর্দায় দেখেছে কাশির দমকে মুখ দিয়ে রক্ত ওঠা একটা
মেয়েকে। ঘাড় কাত করে মেয়েটা চেয়ে থেকেছে তার বাড়ির লোকের দিকে। কেউ তাকে পাত্তা
দেয়নি। তারপর একদিন সবার অলক্ষ্যে মরে গেছে সে। মনখারাপ হয়ে যায় টুকনুর। অনেক রাতে
সে ফিরে আসে ভাঙাচোরা বাড়িটার। আরো ভাঙা চোরা চিলে কোঠার ঘরে, দেওয়ালে ফিকে হয়ে
আসা চে’র ছবির নীচে ভাঙা ফ্রেমের চশমা পড়া অমলিন হাসির লোকটাকে জিজ্ঞেস করে “তোমার
শরীর এখন কেমন? গোরা নকশাল এখোনো তোমার মুখ দিয়ে আর রক্ত পড়ে না তো?”
গোরা নকশাল
হাতের বইটা ভাঁজ করে রেখে বসায় তার বড় হয়ে যাওয়া টুকনুকে। “এই বইটা পড়েছিস?” টুকনু
হাতে নেয় বইটা। ‘চিলিতে গোপনে’? কই না তো? তুমি এখন এই বই কেন পড়ছো গোরা নকশাল?
কিছু বলে না লোকটা। টুকনুর নীল রঙের
কাপড়ের ঝোলার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় বইটা। তারপর সেই উজ্জ্বল দৃষ্টি নিয়ে টুকনুর দিকে
তাকিয়ে বলে “শুনলাম টুকনু ফিল্ম নিয়ে পড়ছে। তাই মনে হল আমিও একটু পড়াশুনো করি।”
হোহো করে হেসে ওঠে লোকটা। তরঙ্গায়িত হাসির ধারা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে। শরিকী বাড়ির
ঝামেলা ঝঞ্ঝাটের কড়িতে বড়্গায়। ফাঁকে ফোঁকড়ে। রাতের গঙ্গায় জেলেদের ছোট ছোট ডিঙি
আর ছোট ছোট ডিঙিতে টিপ টিপ হ্যারিকেনের আলো। জানলা থেকে মুখ সরিয়ে বলি, কিন্তু
যেটা বলতে চাইছিলাম সেটা তোমাকে বলা হলো না যে। এখন তো রিলিফ ক্যাম্প নেই। একবার
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলো। ডাক্তার কাকিমা বলেছে তিনমাস অন্তর একটা এক্সরে করতে হবে।
গোরা নকশাল কোনো কথা বলে না। যাওয়ার সময় দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে যায় টুকনু। বাল্বের
এই হালকা সিপিয়া আলোটা অনেক রাত পর্যন্ত থাকবে এইঘরের চারপাশ জুড়ে। গঙ্গার জলের
ওপর ছায়া ফেলবে। মাঝিরা জানে লোকটা ঘুমোবে না প্রায় সারা রাত। লোকটা জেগে থাকবে। কী
করে সারা রাত ধরে? কেউ জানে না। দিনবদলের স্বপ্ন দেখা চোখে ঘুম নামে না আর। ঘুমের
ওষুধ খেতে চায় না লোকটা। পাছে যদি সত্যি সত্যি দিন বদলটা সে না দেখেই ঘুমিয়ে পড়ে?
কিন্তু
আজ এতো ঘুম এলো কোথা থেকে? সকালের নরম রোদ এসে পড়েছে ১৩৮ নম্বর বেডের পেশেন্টের
গায়ে। আজ এই মুহুর্তে গোরা নকশালের চোখ বন্ধ। পাশে পড়ে আছে অর্ধ সমাপ্ত স্যালাইনের
বোতল। একটা অক্সিজেনের সিলিন্ডার। গায়ে জড়ানো লাল রঙের কম্বল। টুকনু দাঁড়িয়ে থাকে
মাথার কাছে। ডাক্তার ফিসফিস করে বলে যায় চার ঘন্টার আগে কিন্তু বডি ছাড়া হবে না। একে একে রোগীরা এসে দাঁড়ায়। দাদা কাদের যেন ফোন
করছে। কারা যেন সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসছে একে একে। কারা যেন ফিস ফিস করে একটা কবিতা
বলছে... “একটা মোরগ ঘাড় উঁচু করে স্বপ্ন দেখে প্রাসাদের ভিতর রাশি রাশি খাবার...”।
কেউ যেন বলে উঠছে...
“টুকনু ভুলে যেও না ওরা তোমার সুশান্তকে মেরেছিল...। ওরা আমাদের শিক্ষার অধিকার
দেয়নি...স্বাস্থ্যের অধিকার দেয়নি...ওরা আমাদের দুবেলার খাবার নিশ্চয়তা দেয়নি। ওরা
আমাদের দিন বদলটা আটকে দিয়েছে। ওরা আমাদের শুধু জেলের মধ্যেই মারেনি ওরা আমাদের
জ্যান্ত লাশ করে দিয়েছে।’’
সোনালী রোদে
ওই যে ডানা ঝাপটিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে ওটা কি হাঁদার নকশাল? আমি ঠিক জানতাম, যারা উড়তে
পারে তাদের নকশাল বলে। কিন্তু নকশালের হ্নন্তারক কি আমিও ছিলাম না? আমিও কি সত্যিই
ও বাড়ির হুলোটা যখন নকশালের ঘাড় মুটকে নিয়ে চলে যাচ্ছিল দেখতে পাইনি? কবেকার
হারিয়ে যাওয়া ঠুলিও কি আমায় বলেনি...কি নিষ্ঠুর তুই টুকনু...? আমি কেঁদেছি...আমি
হাতড়িয়েছি কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি আর নকশালকে। আমার ফেলে আসা শৈশবকে। আজ যেখানে
দাঁড়িয়ে সেটাও তো একটা মৃত স্বপ্ন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? তাহলে না জানা, না চেনা
লোকগুলো ভিড় করে এসেছে কেন বার্নিং ঘাটে। যার মুখাগ্নি হবে না। যার আত্মার আত্মীয়
বলে কেউ নেই। যার গঙ্গার ধারের চিলে কোঠা চলে যাবে কয়েকদিনের মধ্যে কোনো এক বড়
প্রোমোটারের কাছে। যেখানে অনেক উঁচুতে থাকার লোভ নিয়ে অনেক টাকার ই এম আই এর
কিস্তি জুগিয়ে যাবে আরো কিছু মানুষ। যাদের চোখে কোথাও কোনদিন দিন বদলের স্বপ্ন
থাকবে না। একটা মৃত স্বপ্নের ওপর কি দাঁড়িয়ে থাকবে একটা মৃত গাছ? তাহলে এই সময় কি
মিথ্যে? এই আখ্যান মিথ্যে?
হয়তো না।
কারণ
যে জনপদের গল্প বলতে বসেছিল টুকনু সেই জনপদ মিথ্যে হতে পারে না। ওই তো বিউগল বেজে
উঠছে। ধামসা বেজে উঠছে দ্রিমি দ্রিমি দুম দুম। ওই তো মেথর পাড়া থেকে এসেছে
রামদহীন, জেলে পাড়া থেকে এসেছে লঙ্কেশ...ওই তো বন্ধ হওয়া জুটমিলের শ্রমিকরা। ওই তো
লাল শালু ঢেকে দিচ্ছে ওরা। ওই তো ওরা গেয়ে উঠছে... “হাম ভুখ সে মরনেবালো ইয়া মত সে
ডরনেবালো আজাদিকা ঝান্ডা উঠাও...”। ওই তো ভেঙে পড়ছে চিলে কোঠার ঘরটা। চে’র মুখের
ছবি চূর্ণ বিচূর্ণ হচ্ছে। ওই তো খুলে যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয় দরজা। ইলেকট্রনিক আগুনের
রক্তাভ বিকিরণের মাঝে ঢুকে পড়ছে একটা স্বপ্ন। যে স্বপ্নের মৃত্যু নেই...। যে স্বপ্ন
সঞারিত হচ্ছে জ্বলন্ত এক দেহ থেকে সমষ্টির দেহে। কমরেড গোরা জ্বলছে। পুড়ে যাচ্ছে অস্থি। যদিও এই মুহূর্তে সেই আলোকিত শবাধারের মধ্যে নেই কোনো নতুন ভোরের সঙ্কেত। আছে শুধু এগিয়ে চলার আহ্বান।
ঋণ-
সুকান্ত ভট্টাচার্য, গোরাচাঁদ লাহিড়ী
আর সেই সমস্ত কমরেড যাদের বাড়ি ফেরার ইচ্ছে ছিল...যারা বাড়ি ফিরতে পারেননি...। বাড়ির লোক যাদের হদিশ পাননি কোনোদিন... যাদের প্রতীক্ষায় আছেন এখোনো...।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন