Delhi-6
Delhi-6
As always, I am confused with which movie to make next. Especially after RDB the next is a tough act to follow…
Rakesh Omprakash Mehra
আমরা দর্শকরাও বেশ কিছুটা চিন্তায় এবং আশায় ছিলাম Delhi-6 নিয়ে। শাদা পর্দার গায়ে আবার কোনো এক নতুন চমক দেখাবেন রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহেরা এইরকম একটা আশা করছিলো মন। আসলে পরিচালকের প্রথম দিকের কাজ যদি প্রত্যাশা পূরণের চেয়েও অধিক কিছু দিয়ে দেয়, আত্মতুষ্টি করে দর্শককে এবং সেই সঙ্গে নির্মাতারও তাহলে পরের কাজে দায়িত্ব আরও বাড়ে। প্রথম কাজের গুনমান বজায় রাখার কিম্বা তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার একটা দায় বর্তায় পরিচালকের। সেই গুরু দায়িত্ব তিনি অস্বীকার করতে পারেন না। পারেননি রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহেরাও। কাজেই নিজের বয়ানে তাঁকে লিখতে হয় ওপরের কথা গুলি।
আর ঠিক এর পরের ছবি Delhi-6 – এ আমরা দেখলাম রোশন আমেরিকা থেকে তার ঠাকুমাকে সঙ্গে করে দিল্লী ফিরছে কারণ ঠাকুমার শেষ ইচ্ছে তাঁর দেশের মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার। দেশের মাটিতেই মিশে যাওয়ার। রোশন (অভিষেক বচ্চন) এর আগে দিল্লী আসেনি। তার বাবা মুসলিম মেয়ে বিয়ে করার পর দাদু তার একমাত্র ছেলেকে ত্যাজ্য পুত্র করেছিলো। কাজেই কেউ আর ফিরে আসেনি এখানে। অনেকদিন পরে রোশনের হাত ধরে বৃদ্ধা ওয়াহিদা রহমান (Waheeda Rehman) ফেরেন নিজের ভিটেতে। পুরোনো দিল্লীর এক পুরোনো বাড়ির বিশাল সদর দরজা খোলে বহুদিন পরে। আর এক ঝটকায় পুরোনো দিল্লী হাজির তার রক্ত মাংসের চেহারায় বিনোদ প্রধানের (Binod Pradhan) দৃশ্য ভাবনা... তার সৃজনে। Delhi-6 তার শব্দে স্পর্শে তার নানা রঙের দিনগুলো নিয়ে আমদের সামনে ভেসে ওঠে। পরিচালক তাঁর ছবির নিজস্ব সাইটে (www.delhi6.co.in) জানান এই ছবিটি তাঁর কাছে কেবলমাত্র একটা Film নয়...এটা তাঁর কাছে এক অতীতচারীতা। তার ছোটবেলার সময়কে আরও একবার ফিরে দেখা।
আমরা অতীতের দিল্লী দেখি না। আমরা দেখি এখনকার দিল্লী রোশনের চোখ দিয়ে। যে দিল্লীর একান্নবর্তী পরিবার গুলো টুকরো টুকরো...যে দিল্লী মেতে থাকে রামলীলায় ঠিক আগের মতোই শুধু তফাত থাকে তার রাজনীতিকরণে...যে দিল্লী গুজবে মাতে...জাতি দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে...যে দিল্লী স্বপ্ন দেখায় কোনো এক বাপের শাসনে অতীষ্ঠ মেয়েকে ইন্ডিয়ান আইডল (Indian Idol) হবার...স্বপ্ন দেখায় রোশনকে দিল্লীতে থেকে যাবার।
ছবির শুরুটা মজার...চমকের। এক কালো বিশালাকায় হনুমানের গুজবে অতীষ্ঠ দিল্লীকে দেখিয়ে। প্রথম দিকে কাহিনী বয়নের তার সম্পাদনায় যে গতি থাকে ছবির মাঝেরও অনেক আগে গিয়ে তা যেন ক্রমে হারিয়ে যায়। রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহেরার ছবিতে গল্পের যে তাতক্ষণিকতা দেখে আমরা অভ্যস্ত...যেটা তার চিত্ররূপায়ণের মুন্সিয়ানা Delhi-6 –এ তা অনুপস্থিত। রামলীলার উপস্থিতি এক অন্য মাত্রা সংযোজন করে নিঃসন্দেহে। কিন্তু তার ব্যবহারে পরিমিতি বোধটুকুরও পরিচয় থাকলে হয়তো ছবিটির ক্ষেত্রে মঙ্গল হত। তবে এই ছবির বড় প্রাপ্তি এই ছবিতে ছোট-বড় চরিত্রে সবার অসাধারণ অভিনয়। বিট্টু এখানে খুব ইন্টারেস্টিং একটা চরিত্র। সোনম কাপুর তাঁর আগের ছবির সব জড়তা কাটিয়ে নতুন একটা আবহ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন যেটা অভিষেক পারেননি। চিত্রনাট্যে এবং তার রূপায়ণে কয়েকটা গান অসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু বাকি গুলো মন ছুঁয়ে যায় না।
এই ছবি গুলি ব্যবহার করা হয়েছে www.delhi6.co.in এই সাইট থেকে। free downlod এর সুযোগে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন